আজ

  • রবিবার
  • ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে সাংবাদিক সজলসহ ২ জনকে হামলার ঘটনায় ৮ জনকে আসামী করে মামলা

  • নিজস্ব প্রতিনিধি
  • ফেনী শহরে সন্ত্রাসীদের জিম্মি দশা থেকে এক প্রবাসীকে উদ্ধারে পুলিশকে সহায়তা করতে গিয়ে সময় টিভির রিপোর্টার আতিয়ার সজলসহ ২জন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আদালতের কাছে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী গোলাম রাব্বানী জাহিদের ৫ দিনে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

    শুক্রবার দুপুরে সাইফুল আলম ফারুক বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮ জনের বিরূদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতর জখম, চুরি, ক্ষতি সাধন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে রেকর্ড করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামী ঘটনাস্থল থেকে আটক গোলাম রাব্বানী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরান হোসেন আদালতের কাছে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামসাদ জাহান খান আগামি রবিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানী দিন ধার্য্য করার নির্দেশনা দিয়ে আসামী জাহিদকে ফেনী কারাগারে প্রেরণ করেন।

    মামলার বিবরণে বলা হয়- প্রধান আসামী জাহিদের নেতৃত্বে আসামীরা বাদী ফারুককে শহরের লতিফ টাওয়ারের নিচে ডেকে নেয়। পরে চা খাওয়ার কথা বলে পাশে জালালিয়া রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান নেয়া আসামীরা ফারুককে জোর পূর্বক অবরুদ্ধ করে রাখে।ফারুক আসামীদের জিম্মিদশা থেকে বাঁচতে কৌশলে মোবাইল ফোনে তার পূর্ব পরিচিত সময় টিভির রিপোর্টার আতিয়ার সজলের কাছে মোবাইল ফোনে সাহায্য চান।

    এ সময় সজল ডিবি পুলিশ নিয়ে ফেনী শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে জালালিয়া রেস্টুরেন্টে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে বলে জাহিদ পুলিশকে জানায়। এ কথা বিশ্বাস করে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই এক পর্যায়ে জাহিদের নেতৃত্বে আসামীরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ফারুকের ওপর হামলা করে। এ সময় সজল প্রবাসী ফারুককে বাঁচাতে চাইলে ‘পুলিশ কেন এনেছিস’ এই কথা বলে সজলের উপরও জাহিদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে তার মোবাইল ভাঙচুর করে ও পকেটে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। হামলায় ফারুক ও সজল আহত হয়। একপর্যায়ে হামলকারীরা কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকার লতিফ টাওয়ারের সামনে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে।

    জাহিদ ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের ধলিয়া গ্রামের মৃত শেখ আহম্মদের ছেলে। সে বর্তমানে শহরের শান্তিধারা আবাসিক এলাকায় বসবাস করে।

    ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আদিল মাহমুদ জানান, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জড়িতদের পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে। এ ঘটনায় জড়িত সকলকেই গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।

    ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090